সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন

পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রও খুলছে, চলবে সব গণপরিবহন

জাতীয় ডেস্ক : বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আগামী ১৯ অগাস্ট থেকে কয়েকটি শর্তে পর্যটন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্রও খুলে দিচ্ছে সরকার। সেদিন থেকে সব গণপরিবহনই সড়কে নামতে পারবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে বলেছে, দেশের ‘আর্থসামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে’ এসব ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের বিধিনিষেধ ১১ অগাস্ট থেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তুলে নেওয়া হয়েছিল।

সেদিন থেকেই সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিপণি বিতান ও দোকানপাট খোলা। আর শিল্প কারখানা খোলা রয়েছে গত ১ অগাস্ট থেকেই।

১১ অগাস্ট থেকে আসন সংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেওয়া হলেও প্রত্যেক এলাকার প্রতিদিন মোট যানবাহনের অর্ধেক গাড়ি রাস্তায় নামানোর শর্ত দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই শর্ত আর থাকছে না।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৯ অগাস্ট থেকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সড়ক, রেল ও নৌপথে সকল প্রকার গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে।

সব ধরনের পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র এতদিন বন্ধই ছিল। ১৯ অগাস্ট থেকে সেসব আবার খোলা যাবে। তবে শর্ত হল, আসন বা ধারণক্ষমতার অর্ধেক খালি রাখতে হবে।

পাশাপাশি সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলেছে, “যে কোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এখন শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখার অনুমতি আছে। আর খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যায়। এ নিয়মে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর হর গতবছর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সেসব খোলার বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি।

সবশেষ গত ২৯ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল। আর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সবাইকে টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলা হচ্ছিল সরকারের তরফ থেকে।

করোনাভাইরাস মহামারীর দেড় বছরের মধ্যে জুলাই মাসে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা পার করেছে বাংলাদেশে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ১ জুলাই দেশে লকডাউন জারি করা হলেও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে কোরবানির ঈদের সময় নয় দিন তা শিথিল করা হয়েছিল।

ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই থেকে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত আবার লকডাউন চললেও তার মধ্যেই দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড দেখেছে বাংলাদেশ । ১ অগাস্ট সব ধরনের রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে।

মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সরকার এখন জোর দিচ্ছে টিকাদানে। গত শনিবার থেকে ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে ছয় দিনের গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল, যা বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সাড়া মিললেও এখন সবার জন্য টিকার জোগান নিয়ে চিন্তাও করতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের।  

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888